প্রকাশিত: Mon, Feb 19, 2024 3:44 PM
আপডেট: Tue, Jul 1, 2025 6:02 PM

[১]পাকিস্তানে নির্বাচনে কারচুপির দায়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করল পিটিআই

সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে নির্বাচনে কারচুপির ক্ষেত্রে নিজের ভূমিকার কথা জানানোর পর সারা পাকিস্তানে নির্বাচনের স্বচ্ছতার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ও তার মিত্ররা প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) ও প্রধান বিচারপতির (সিজেপি)  পদত্যাগ দাবি করেছে। সূত্র : ডন

[৩] পাকিস্তান পিপলস পাটির্ (পিপিপি) রাওয়ালপিন্ডির কমিশনারের অভিযোগ তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে। তবে পকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ(পিএমএল-এন) রাওয়ালপিন্ডির কমিশনারের মানসিক অবস্থা বা সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এমন তদন্তের দাবি নাকচ করে দিয়েছে। পিএমএল-এন নেতা রানা সানাউল্লাহ দুনিয়া নিউজকে বলেছেন, রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার মনে হচ্ছে মানসিকভাবে অসুস্থ আর সেকারণে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করার দাবি করেছেন।

[৪] রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলী চাট্টা কারচুপির সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার কথা প্রকাশ করার পর পিটিআই-এর মুখপাত্র আলী মুহাম্মাদ খান রউফ হাসান প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজা ও প্রধান বিচারপতি কাজী ফায়েজ ইসার পদত্যাগ দাবি করেছেন। আলী মুহাম্মাদ খান রউফ বলেন, চাট্টার স্বীকারুক্তি রাতের আধারে গণরায় চুরি করার পিটিআইএর অবস্থানকে সমর্থন করেছে। এরমধ্য দিয়ে নির্বাচনে কারচুপির স্বরূপও প্রকাশ পেয়েছে।

[৫] তিনি বলেন, রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার স্বীকার করেন যে, পিটিআই প্রার্থী ৭০ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হন। এরপর জাল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে তাকে পরাজিত দেখানো হয়েছে। পিটিআই মুখপাত্র পিটিআই’র কাছ থেকে চুরি করা ৮৬টি আসন দলটিকে ফেরত দিতে নির্বাচনি পর্যব্ক্ষেণ সংস্থার কাছে দাবি জানিয়েছেন। 

[৬] উল্লেখ্য, রাওয়ালপিন্ডি শহরে ভোট জালিয়াতির সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়ে শনিবার পদত্যাগ করেন রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশন কমিশনার লিয়াকত আলী চাতা। এই কারচুপির সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান বিচারপতি পুরোপুরি জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। এই কর্মকর্তা নিজেরসহ জড়িত সবার বিচার চেয়েছেন। 

[৭] তবে রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশন কমিশনারের অভিযোগ নাকচ করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। কারচুপির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ নাকচ করেছেন দেশটির প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসাও।

[৮] রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলির করা ভোট কারচুপির অভিযোগ তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন জানায়, কমিশনের সচিব, বিশেষ সচিব, অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ (আইন) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই কমিটিতে থাকছেন। 

[৯] নির্বাচন কমিশন আরও জানায়, তদন্ত কমিটি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণ করবে। তারা তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেবে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, রাওয়ালপিন্ডির কমিশনারের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তদন্ত প্রতিবেদনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে। সম্পাদনা: ইকবাল খান